নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক নারী ও তার মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
এর আগে গত রোববার রাতে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের দুর্গম চরে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন হাসান (৩৬) ও হারুন (৩২), যারা উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের চর বালুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগের বরাতে তিনি জানান, ওই নারীর (৩৫) স্বামী চট্টগ্রামে গাড়ি চালান। উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের এক দুর্গম চরে ওই নারী তার বিচ্ছেদের শিকার মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। তার এক দূরসম্পর্কের দেবর প্রায় তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এ নিয়ে স্থানীয় হাসান ও হারুনসহ ছয় যুবক তাদের মা-মেয়েকে সন্দেহ করতেন।
গত রোববার রাত ১১টার দিকে ওই ছয় যুবক নারীর ঘরের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর তারা ওই নারীর দূরসম্পর্কের দেবরকে (২১) বেঁধে রাখেন। ওই সময় যুবকদের মধ্যে তিনজন নারীকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির পুকুর পাড়ে তুলে নিয়ে যায়। অন্যরা তার মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যান। সেখানে রাত তিনটা পর্যন্ত ওই যুবকরা তাদের ধর্ষণ করে। তারা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে যান।
ওসি আরও জানান, ওই নারী ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তার মামলার ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার সকালে ওই নারী ও তার মেয়েকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।